Disease

আইবিএস কি?, আইবিএস হওয়ার কারণ, আইবিএস এর ধরন, আই বি এস এর লক্ষণ, হোমিওপ্যাথিতে আইবিএস এর চিকিৎসা

আইবিএস কি?

আইবিএস কি?, আইবিএস হওয়ার কারণ, আইবিএস এর ধরন, আই বি এস এর লক্ষণ, হোমিওপ্যাথিতে আইবিএস এর চিকিৎসাআইবিএস (IBS) মানে হলো ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (Irritable Bowel Syndrome)। এটি একটি সাধারণ পেটের সমস্যা, যেখানে পেটের বিভিন্ন সমস্যার মতো পেট ফুলে যাওয়া, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, বা উভয়ের সমন্বয় দেখা দিতে পারে। IBS সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, তবে এটি জীবনকে বিপদে ফেলতে না-ও পারে। এই রোগটি সাধারণত পেটের ভিতরে অস্বস্তি, ব্যথা, বা অস্বাভাবিক পেটের কার্যক্রম সৃষ্টি করতে পারে।

আইবিএস হওয়ার কারণ:
আইবিএস (IBS) বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের সঠিক কারণ এখনো সম্পূর্ণভাবে জানা না গেলেও কিছু সাধারণ কারণে এটি হতে পারে। এখানে কিছু প্রধান কারণ উল্লেখ করা হলো:

অস্বাভাবিক অন্ত্রের গতিপথ: IBS আক্রান্তদের অন্ত্রের সঙ্কোচন বা শিথিলতা স্বাভাবিকভাবে কাজ করে না, ফলে অন্ত্রের কার্যক্রম অস্বাভাবিক হয়ে যায়, যার ফলে পেটে ব্যথা, ফোলাভাব, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা: IBS-এ পেটের স্নায়ুতন্ত্রের মধ্যে অস্বাভাবিকতা থাকতে পারে, যা পেটের ব্যথা বা অস্বস্তি সৃষ্টি করে। পেটের স্নায়ু এবং মস্তিষ্কের মধ্যে যে সংকেত আদান-প্রদান হয়, তা ঠিকঠাকভাবে কাজ না করলে IBS হতে পারে।

মানসিক চাপ: উদ্বেগ, দুঃখ, বা মানসিক চাপ IBS-এর উপসর্গকে তীব্র করতে পারে। এটি অন্ত্রের কার্যক্রমকে প্রভাবিত করতে পারে এবং IBS-এর উপসর্গ বাড়িয়ে তোলে।

খাবারের অস্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া: কিছু খাবার IBS-এর উপসর্গ সৃষ্টি করতে বা বাড়াতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, দুধজাত পণ্য, মশলাদার খাবার, তৈলাক্ত খাবার, ক্যাফেইন, অ্যালকোহল ইত্যাদি খাওয়ার পর IBS-এর উপসর্গ তীব্র হতে পারে।

অন্ত্রের সংক্রমণ: অতীতে কোনো ধরনের অন্ত্রের ইনফেকশন, যেমন ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ, IBS সৃষ্টি করতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, ইনফেকশন থেকে সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরও IBS-এর উপসর্গ দীর্ঘ সময় ধরে থাকতে পারে।

হরমোনাল পরিবর্তন: নারীদের ক্ষেত্রে, মাসিকের সময় বা গর্ভাবস্থায় হরমোনাল পরিবর্তন IBS-এর উপসর্গ বাড়াতে পারে।

জেনেটিক ফ্যাক্টর: পরিবারের সদস্যদের মধ্যে IBS থাকলে, একজনেরও এটি হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। অর্থাৎ, জেনেটিক উপাদানও এর মধ্যে ভূমিকা রাখতে পারে।

আইবিএস এর ধরন:
আইবিএস (IBS) বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের কিছু ধরন রয়েছে, যেগুলি উপসর্গের ভিত্তিতে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। প্রধানত, তিনটি প্রকারে আইবিএস ভাগ করা হয়:

IBS-D (Diarrhea predominant):
এই ধরনের আইবিএসে ডায়রিয়া (পেটের তরল বা পাতলা বিষ্ঠা) প্রধান সমস্যা হয়ে থাকে। রোগী সাধারণত ডায়রিয়া ও তীব্র পেট ফাঁপুনির অভিজ্ঞতা পায়, বিশেষত খাবার খাওয়ার পর। ডায়রিয়া হওয়ার কারণে মল তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখতে অসুবিধা হয়।

IBS-C (Constipation predominant):
এই ধরনের আইবিএসে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রধান সমস্যা হয়। অর্থাৎ, রোগীর মলত্যাগ কম হয়, মল কঠিন হয় এবং মল ত্যাগের সময় কষ্ট হয়। অনেক সময় দীর্ঘ সময় ধরে পেট ফাঁপা বা অস্বস্তি অনুভূত হয় এবং মলত্যাগের সময় ব্যথা হতে পারে।

IBS-M (Mixed type):
এই ধরনের আইবিএসে ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, দুটোই ঘটতে থাকে। অর্থাৎ, কখনো ডায়রিয়া হয়, আবার কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। এই ধরনের আইবিএসে পেটের সমস্যা অনেক বেশি অস্থির এবং নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে।

এছাড়া, IBS-U (Unclassified) নামক একটি ধরনও থাকতে পারে, যেখানে রোগী বিশেষ কোনো ধরন অনুযায়ী উপসর্গ অনুভব করেন না বা উপসর্গের কারণে নির্দিষ্ট কোনো শ্রেণীতে ফেলা যায় না।

আই বি এস এর লক্ষণ:
আইবিএস (IBS) বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের বেশ কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে, যা রোগীর পেট এবং অন্ত্রের কার্যক্রমের উপর প্রভাব ফেলে। এই লক্ষণগুলি বিভিন্ন মানুষের মধ্যে ভিন্ন হতে পারে এবং কখনো কখনো পরিবর্তিত হয়। IBS-এর মূল লক্ষণগুলো হলো:

পেটের ব্যথা বা অস্বস্তি:
পেটে ব্যথা বা অস্বস্তি IBS-র অন্যতম প্রধান লক্ষণ। ব্যথাটি সাধারণত পেটের নিম্ন অংশে হয় এবং খাবার খাওয়ার পর বা মলত্যাগের আগে তীব্র হতে পারে। ব্যথা সাধারণত খাবার খাওয়ার পর কিছুটা কমে যেতে পারে।

ডায়রিয়া (Diarrhea):
IBS-D (Diarrhea predominant) ধরণের রোগীদের ক্ষেত্রে পাতলা বা তরল মল হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। মল তাড়াতাড়ি বের হয় এবং নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation):
IBS-C (Constipation predominant) ধরণের রোগীদের ক্ষেত্রে মল কঠিন হয়ে যায় এবং মলত্যাগে সমস্যা দেখা দেয়। কখনো কখনো অনেক সময় পর পর মলত্যাগ করতে হয়, এবং মল ত্যাগের সময় অসুবিধা বা ব্যথা অনুভূত হয়।

পেট ফাঁপা বা গ্যাস:
IBS রোগীদের পেট ফুলে যাওয়া বা গ্যাস হওয়ার সমস্যা হতে পারে। এটি অস্বস্তির সৃষ্টি করতে পারে এবং কখনো কখনো পেটের নিচের অংশে অস্বাভাবিক চাপ বা টান অনুভূত হয়।

অস্বাভাবিক মল (Change in stool appearance):
মলের পরিবর্তন হতে পারে, যেমন খুব পাতলা বা কঠিন মল, অথবা মলের সাথে শ্লেষ্মা (mucus) থাকতে পারে।

মলত্যাগের পর অস্বস্তি:
মলত্যাগের পরও অনেক সময় রোগী পেটের অস্বস্তি বা অসম্পূর্ণ মলত্যাগের অনুভূতি অনুভব করে। এটি এমনভাবে মনে হতে পারে যে, পেট সম্পূর্ণভাবে পরিষ্কার হয়নি।

থকথকে অনুভূতি বা বোধ:
IBS-এর কারণে রোগীরা দীর্ঘ সময় ধরে অস্বস্তি অনুভব করতে পারে, এমনকি যখন কোনও প্রকারের শারীরিক সমস্যা না থাকে, তাও।

এই উপসর্গগুলি IBS-এর একটি সাধারণ অংশ হলেও, রোগীর মধ্যে এগুলি পৃথক পৃথক ভাবে এবং বিভিন্ন তীব্রতায় থাকতে পারে। এছাড়া, মানসিক চাপ, খাবারের ধরন বা দৈনন্দিন জীবনযাত্রার পরিবর্তনও এই উপসর্গগুলি বাড়িয়ে তুলতে পারে।

হোমিওপ্যাথিতে আইবিএস এর চিকিৎসা:
হোমিওপ্যাথিতে আইবিএস (IBS) এর চিকিৎসা ব্যক্তিগত উপসর্গ ও রোগীর শারীরিক এবং মানসিক অবস্থা অনুযায়ী করা হয়। হোমিওপ্যাথি রোগীর শরীরের সামগ্রিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করে, যাতে IBS-এর উপসর্গগুলি কমে আসে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় মূলত এমন রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয় যা শরীরের প্রাকৃতিক নিরাময় ক্ষমতাকে উদ্দীপিত করে।

আইবিএস-এর জন্য কিছু সাধারণ হোমিওপ্যাথিক ওষুধের মধ্যে রয়েছে:

Nux Vomica:
এটি ডায়রিয়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য ব্যবহৃত একটি সাধারণ ওষুধ। যারা অতিরিক্ত চাপ, দুশ্চিন্তা বা অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে IBS-এর উপসর্গ অনুভব করেন, তাদের জন্য এটি উপকারী হতে পারে।

Aloe Vera:
যদি IBS-এ বেশি ডায়রিয়া হয় এবং সাথে পেটের খোলামেলা অনুভূতি থাকে, তবে Aloe Vera হোমিওপ্যাথিক উপাদান ব্যবহার করা হতে পারে। এটি অন্ত্রের কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে সাহায্য করতে পারে।

Bryonia:
এই ওষুধটি কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেটের ফাঁপা অনুভূতির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যাদের পেটের ব্যথা বা অস্বস্তি শীতল অবস্থায় বাড়ে এবং গরমে কমে, তাদের জন্য এটি কার্যকর হতে পারে।

Lycopodium:
যারা পেটের ফাঁপা বা গ্যাসের সমস্যা অনুভব করেন এবং হজমের সমস্যা থাকে, তাদের জন্য Lycopodium উপকারী হতে পারে। এটি পেটের সঠিক কার্যক্রম পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।

Sulphur:
যদি IBS-এর কারণে পেটের অস্বস্তি ও গ্যাসের সমস্যা হয় এবং পেটের তাপ অনুভূত হয়, তবে Sulphur হোমিওপ্যাথিক উপাদান ব্যবহার করা হতে পারে।

Argentum Nitricum:
এই ওষুধটি উদ্বেগ এবং মানসিক চাপের কারণে IBS-এর উপসর্গগুলিকে হালকা করতে সাহায্য করতে পারে, বিশেষ করে ডায়রিয়া বা দ্রুত মলত্যাগের সমস্যা থাকলে।

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবহারের সময়, প্রতিটি রোগীকে তাদের উপসর্গ, জীবনযাত্রা, মানসিক অবস্থা এবং অন্যান্য শারীরিক উপসর্গের উপর ভিত্তি করে একটি বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতি দেওয়া হয়। হোমিওপ্যাথি একটি ব্যক্তিগত চিকিৎসা পদ্ধতি হওয়ায়, সঠিক ওষুধ এবং ডোজ পেতে একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

প্রাকৃতিকভাবে আইবিএস এর নিয়ন্ত্রণ:
আইবিএস (IBS) নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রাকৃতিক পদ্ধতিগুলি বেশ কার্যকর হতে পারে। এসব পদ্ধতি রোগীকে পেটের অস্বস্তি, গ্যাস, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করতে পারে। এখানে কিছু প্রাকৃতিক উপায় দেওয়া হল যা IBS নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে:

1. খাবারের ধরন নিয়ন্ত্রণ:
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার: ফাইবার অন্ত্রের কার্যক্রমকে সুস্থ রাখে, তবে IBS-C (কোষ্ঠকাঠিন্য) রোগীদের জন্য অতিরিক্ত ফাইবার বা কিছু ধরনের ফাইবার (যেমন, শাকসবজি ও ফল) পেটের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই, সুষম ফাইবার গ্রহণ জরুরি।
চর্বিযুক্ত খাবার কমানো: চর্বিযুক্ত খাবার বা তৈলাক্ত খাবার IBS-এর উপসর্গ বাড়াতে পারে, তাই এগুলি কমানো ভালো।
দুগ্ধজাত পণ্য থেকে বিরত থাকা: অনেক IBS রোগী দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারে অস্বস্তি অনুভব করেন, তাই এগুলি এড়িয়ে চলা হতে পারে।
ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল: ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল IBS-এর উপসর্গ বাড়াতে পারে, তাই এগুলি সীমিত করা প্রয়োজন।

2. শরীরচর্চা ও ব্যায়াম:
নিয়মিত ব্যায়াম: পেটের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে এবং মানসিক চাপ কমাতে নিয়মিত ব্যায়াম খুবই কার্যকর। হাঁটাহাঁটি, সাঁতার, যোগা ইত্যাদি IBS রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে।
যোগা ও মেডিটেশন: বিশেষ করে মানসিক চাপ কমানোর জন্য যোগা ও মেডিটেশন সাহায্য করতে পারে। এগুলি পেটের সমস্যাকে প্রশমিত করতে এবং মানসিক শান্তি অর্জনে সহায়ক।

3. মানসিক চাপ কমানো:
IBS অনেক সময় মানসিক চাপের কারণে বৃদ্ধি পায়। কাজের চাপ, উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা কমাতে মেডিটেশন, ডিপ ব্রিদিং এক্সারসাইজ এবং গভীর শ্বাস প্রশ্বাস ব্যবহার করা যেতে পারে।
মাইন্ডফুলনেস (Mindfulness) প্র্যাকটিসও মনোযোগীভাবে বর্তমান পরিস্থিতিতে থাকতে সহায়ক, যা স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করতে পারে।

4. হেলদি পানির অভ্যাস:
পেটের সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের জন্য প্রচুর পানি পান করা জরুরি। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান করা অন্ত্রের কার্যক্রমকে সঠিক রাখতে সহায়ক।

5. প্রোবায়োটিক্স:
প্রোবায়োটিক্স (যেমন, দই বা অন্যান্য খাওয়া যায় এমন জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া) পেটের ব্যাকটেরিয়া ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং অন্ত্রের কার্যক্রমে সাহায্য করতে পারে। এটি পেটের সমস্যা যেমন গ্যাস এবং ফোলাভাব কমাতে সহায়ক হতে পারে।

6. জিরা (Cumin) ও আদা (Ginger):
জিরা: এটি হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়ক হতে পারে এবং গ্যাস ও পেট ফাঁপা কমাতে সাহায্য করতে পারে। এক চা চামচ জিরা গরম পানিতে ফুটিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
আদা: আদা পেটের সমস্যা কমাতে এবং হজমে সাহায্য করতে পারে। আদা চা বা কাঁচা আদা খাওয়া IBS-এর উপসর্গ কমাতে সহায়ক।

7. আলতো করে খাওয়া এবং ধীরে ধীরে খাবার খাওয়া:
খুব তাড়াতাড়ি খাবার খাওয়ার ফলে পেটে গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে, যা IBS রোগীদের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। ধীরে ধীরে খাবার খাওয়া এবং খাবার ভালভাবে চিবিয়ে খাওয়া পেটের জন্য ভালো।

8. হলুদ (Turmeric):
হলুদে থাকা কুরকিউমিন নামক উপাদানটি অন্ত্রের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। হলুদ দুধে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে, যা পেটের জন্য উপকারী হতে পারে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button